বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে গৃহবধূকে দল বেঁধে 'ধর্ষণের ঘটনা' সালিশ বৈঠকে ২০ হাজার টাকায় মীমাংসার অভিযোগ উঠেছে।
স্বজনরা বলছেন, সোমবার সকালের ওই বৈঠকের পর আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন ওই নারী।
তাকে গুরুতর অবস্থায় হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি ওই নারীর।
আন্ধারমানিক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, মাস তিনেক আগে পাশের ইউনিয়নের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই নারীর। কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকেন তার স্বামী। এর মধ্যে মো. বাবু নামে একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় মেয়েটি। রােববার রাতে ওই গৃহবধূকে বন্ধু রাজীবের বাড়িতে ডেকে নেন বাবু। সেখানে বাবুসহ তিনজন তাকে ধর্ষণ করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য পরান ভূইয়া সােমবার সকালে সালিশ বৈঠক করে তাদের তিনজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আর ওই গৃহবধূকে দেয়া হয় পরিবারের জিম্মায়। এ ঘটনার পর লজ্জা অপমানে ওই গৃহবধূ বিষ খায় বলে অভিযোগ করেন তার এক স্বজন।
সালিশ বৈঠকের বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায় ইউপি সদস্যের মোবাইল নম্বর।
কাজিরহাট থানার ওসি সাজ্জাদ হােসনে বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি কিন্তু এখনও পরিবারের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি।'
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।