বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার সায়ের মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়া আইনটি অনুমোদন হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আইনটি সংশোধনের মধ্য দিয়ে এদেশে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সংসদ অধিবেশনে না থাকায় সংশোধিত আইনটি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। বাস্তবায়ন শুরু মঙ্গলবারই।
ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা বলেন, ‘ধর্ষকের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। পরিবার সমাজ সচেতন হলে কমিউনিটি নেতারা সোচ্চার হলে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে। তখন রাজনৈতিক গ্যালারি বড় কোনো বিষয় হবে না।’
বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে দলগত ধর্ষণ বা ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হলে প্রাণদণ্ডের বিধান আছে। পাশাপাশি দণ্ডিতের অর্থদণ্ডের বিধান আছে।
সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনে ভিডিও ফাঁসের পর গড়ে উঠা আন্দোলনে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবিটি প্রধান হয়ে উঠে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ৮ অক্টোবর জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। সাজা বাড়িয়ে সংশোধিত আইন মন্ত্রিসভায় উঠবে সোমবার।