রাজবাড়ীতে জেলেদের মাঝে ভিজিএফের বরাদ্দকৃত চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ কেজি চাল। ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের এই চাল দেয়া হচ্ছে।
আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২১ দিন দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন,পরিবহন, কেনা-বেচা, বিনিময় ও মজুদ নিষিদ্ধ থাকবে।
রোববার বিকেলে রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের ৪৭১ জন জেলের মাঝে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে পাঁচজন জেলের হাতে চাল তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আরিফুজ্জামান, মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতিয়ার রহমানসহ আরও অনেকে।
সরেজমিনে জানা যায়, জেলেদের জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ কেজি চাল।
চাল নিতে আসা বেশ কয়েকজন জেলে নিউজবাংলার এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়নি।
জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজনের চাল একটি দোকানে গিয়ে ওজন করেন এই প্রতিবেদক। এতে জেলেদের অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
জেলেদের এই অভিযোগের বিষয়ে মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের সাথে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে যেভাবে আলোচনা হয়েছে সেভাবেই চাল দিচ্ছি।’
কাদের সঙ্গে আলোচনা করে চাল কম দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান ‘এইতো কথা শেষ’ বলে চলে যান।
জেলেদের চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে ৯ নং ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের একটা খরচ আছে। গুদাম থেকে চাল আনতে গাড়ি ভাড়া,গাড়ি থেকে নামানো, ওই চাল যারা ওজন করছেন তাদের দুই-চার কেজি দেয়া সব মিলিয়ে ওজনে চাল কিছুটা কম দেওয়া হচ্ছে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, ‘জেলেদের চাল কম দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ পরিবহনের জন্য টন হিসাব করে ২৫০ টাকা খরচ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।’
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টা আমি আপনার (প্রতিবেদকের) কাছ থেকে এই মাত্র শুনলাম। জেলেদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যারা ওজনে কম দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’