বরিশালে ১১ বছরের শিশুকে হত্যার দায়ে তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, শিশুটির মা কনা বেগম ও তার কথিত দুই প্রেমিক রুহুল আমিন নলি ও শাহীন নলি। তাদের সবার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীর হাট থানার পশ্চিম রতনপুর এলাকায়।
সোমবার বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে. এম. শহীদ আহম্মেদ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কনা বেগম ও রুহুল আমিন নলি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি লস্কর নুরুল হক এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সাজা পাওয়া শাহীন কনা বেগমের চাচাতো ভাই। রুহুল ও শাহীন দুই বন্ধু।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কনা বেগমের সঙ্গে শাহীন নলির পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদিন তাদের একসঙ্গে দেখতে পান রুহুল। পরে তিনি ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে কনাকে বাধ্য করেন।
২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে মাকে শাহীন ও রুহুলের সঙ্গে দেখেত পায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রনি। এ কথা সে বাবাকে বলে দেয়ার কথা বলে। তখন ওই তিনজন মিলে রনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর সাপের কামড়ে রনির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন কনা বেগম।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কনাকে নিয়ে যায়। পরদিন রনির বাবা লতিকুল্লাহ দুয়ারী অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে কনা বেগমকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
২০১৪ সালের ২৭ মার্চ রুহুলকে গ্রেফতার করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে জেলা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম মৃধা ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার আরেক আসামি শাহীন আজও পলাতক।
আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করে।