অস্ত্র মামলার দুটি ধারায় নরসিংদীর যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া পিউ ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে মোট ২৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশ এ রায় দেন।
বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগজিন ও বিশ রাউন্ড গুলি রাখায় পাপিয়া ও সুমনকে অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় ২০ বছর ও ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুটি সাজা একই সঙ্গে কার্যকর হবে বলে পাপিয়া ও সুমনকে ২০ বছর কারাগারে থাকতে হবে।
পাপিয়া ও সুমনকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার সময় তারা এজলাস কক্ষে ছিলেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে সোমবার রায়ের দিন ঠিক হয়।
আলোচিত এ অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণাকালে বিচারক বলেন, ১৯ (এ) ধারায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। এ ছাড়াও অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ) ধারায় ১২ সাক্ষীর মধ্যে তিন জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দিয়েছেন। সে জন্য এ দম্পতিকে আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।
তিনি বলেন, উভয় দণ্ড একই সঙ্গে কার্যকর হবে বা শুরু হবে।
রায়ের পযর্বেক্ষণে বিচারক বলেন, পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সজ্জন রাজনীতিক ছিলেন না। তাদের বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়, যার কোনো বৈধতা থাকতে পারে না। এত টাকা থাকার কোনো যুক্তিও থাকতে পারে না।
পাপিয়া দম্পতিকে নিয়ে বিচারক আরও বলেন, তারা তথাকথিত রাজনীতিবিদ। যে কোনো অন্যায় কাজে লাগানোর জন্য তারা তাদের ডাইনিং রুমের খাটের তোশকের তলায় একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি রেখেছিলেন।
রায়ের পর এই দম্পতির মধ্যে তাৎক্ষণিক কোনো ভাবান্তর দেখা যায়নি।
পাপিয়ার আইনজীবী সাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া ও মফিজুরের আইনজীবী এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে যাবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।