ফেসবুকে বিচার বিভাগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দের ‘বিরূপ’ মন্তব্য নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করে আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতিসহ সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ইউনুছ আলীর ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে শুনানি হয়।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ইউনুছ আলী একজন অভ্যাসগত আদালত অবমাননাকারী। এর আগে তিনবার এই ধরনের অপরাধ করলেও তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর কতবার তাকে ছেড়ে দেব? উনি এবার যে কাজ করেছেন, তা কি ক্ষমার যোগ্য?’
ইউনুছ আলীর যে বয়স (৬১ বছর), তাতে প্র্যাকটিস থেকে অবসর নেওয়ার সময় হয়েছে বলেও মন্তব্য করে আদালত।
ওই দিন আদালতের নির্দেশে সকাল সাড়ে ৯টায় আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে হাজির হন ইউনুছ আলী। এ সময় আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি।
ক্ষমার আবেদনে ইউনুছ আলী দাবি করেন, এক হাজারের মতো জনস্বার্থমূলক মামলা করেছেন তিনি।
আবেদনে ১০ থেকে ১৫ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করেন ইউনুছ আলী। কিন্তু ওই আইনজীবীরা জানান, তাদের সম্মতি না নিয়েই ক্ষমার আবেদনে তাদের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে।
আবেদনে উল্লেখিত অন্যান্য তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আপিল বিভাগের বিচারপতিরা।
বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার বলেন, ‘এটা কি আদালতকে ধোঁকা দেওয়া নয়? এত মিথ্যা আপনি ঢাকবেন কী করে? একটি নয়, হাজারটি মিথ্যা বলেছেন।’
ইউনুছ আলী বলেন, ‘যে আবেদন দিয়েছি, তা পরিবর্তন করে নতুন আবেদন দেব।’
বিচারপতি ইমান আলী বলেন, ‘যে আবেদন দিয়েছেন, সেটা এখন কোর্টের রেকর্ড। এটা মুছে ফেলা বা পরিবর্তন করা যাবে না।’
২৭ সেপ্টেম্বর ইউনুছ আলীর ফেসবুক স্ট্যাটাস আমলে নিয়ে তাকে দুই সপ্তাহের জন্য প্র্যাকটিস থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।