ময়মনসিংহের ভালুকা ও ঈশ্বরগঞ্জে দুই কিশোর খুন হয়েছে। এ ছাড়া সদরে এক কিশোরের ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়। রোববার এই তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ঈশ্বরগঞ্জে নিহতের নাম পারভেজ মোশাররফের (১৫)। সে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর উত্তরপাড়া এলাকার প্রবাসী মঞ্জুরুল হকের ছেলে। সে মরিচারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্কুলছাত্র পারভেজকে মোবাইল ফোনে জরুরি কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায় কেউ একজন। এর পর পারভেজ বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
রোববার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ব্রহ্মপুত্র নদে কিশোরের মরদেহ পড়ে আছে বলে খবর পায় পারভেজের পরিবার। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মৃতদেহ পারভেজের বলে শনাক্ত করে তার পরিবার।
ওসি আরও বলেন, মরদেহের থুতনির নিচে ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ভালুকায় রব্বানী (১২) নামে এক স্কুল ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রব্বানী শেরপুর জেলার শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে উপজেলার আইনুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। শফিকুল সপরিবারে ভালুকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, রব্বানী শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রোববার দুপুরের দিকে উপজেলার জমিরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিহতের মা হেনা বেগম গিয়ে রব্বানীর মরদেহ শনাক্ত করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিন্হ রয়েছে। এ ঘটনা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহ সদরের ভাবখালী ইউনিয়নের চর আমিয়ান এলাকায় নদী থেকে সাব্বির (১৮) নামের কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত সাব্বির হোসেন নগরীর রেলওয়ে স্টেশন দুই নম্বর গেট এলাকার সুলতান আহমেদর ছেলে। সে গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, দুপুরে ভাবখালী ইউনিয়নের চর আমিয়ান এলাকায় নদীতে মরদেহ ভাসার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি।