নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নির্যাতিত সেই নারীর ঘর থেকে রোববার আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের তদন্ত ব্যুরো (পিবিআই)।
একইদিন মামলার তিন আসামি নুর হোসেন বাদল, মাইনুদ্দিন সাজু ও রহমত উল্যাহকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়। প্রধান আসামি বাদলসহ দুজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার সকালে পিবিআই কর্মকর্তারা বেগমগঞ্জে নির্যাতিত নারীর বাড়িতে যান। এ সময় তারা তার জামা-কাপড়, বালিশ, বিছানার চাদর ও কয়েকটি কার্টনসহ মামলার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। এসময় কিছু আলামত উদ্ধারের জন্য বাড়ির পাশের খাল ও পুকুরে জাল ফেলা ও ডুবুরি নামিয়ে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে স্থানীয়দের সাক্ষী করে আলামতগুলোর জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়।
এসময় নির্যাতিত নারীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই এর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই নারীর করা দুটি মামলা গত শুক্রবার পিবিআইতে স্থানান্তর হয়।
পিপি গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে রোববার দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে দুই আসামি বাদল ও সাজু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে বিভিন্ন দিন রহমতসহ মামলার ৫ আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বেগমগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ৪ অক্টোবর ফেসবুকে ফাঁস করা হয়। ওই নারী ৪ অক্টোবর রাতেই বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।
৬ অক্টোবর রাতে ঘটনার মূল হোতা দেলোয়ার হোসেন ও আবুল কালামকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় আরেকটি ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। এ পর্যন্ত তিন মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে এজাহারভুক্ত ৯ জনের বাইরে আরও দুজনের নাম এসেছে।