বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জনগণের আন্দোলন কি শেষ হয়ে গেছে?’

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২০ ২১:১০

ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় নুরুল হক নুর ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতারের দাবিতে অনশনকারী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আবার অনশনস্থলে ফিরেছেন

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সংগঠন সাধারণ ছাত্র পরিষদের চার জনকে গ্রেফতারের দাবিতে অনশনকারী শিক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে আবার তার কর্মসূচি স্থলে ফিরেছেন।

এক রাত চিকিৎসালয়ে কাটিয়ে আসা তরুণী প্রশ্ন তুলেছেন, ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে দেশের মানুষের আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে কি না।

বৃহস্পতিবার থেকে অনশনে বসা তরুণী শুক্রবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক বারবার তাকে বলেন, শারিরীকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাকে কিছু খেতেই হবে। তবে, নুরদের গ্রেফতারের খবর না শুনে তিনি মুখে কিছু তুলবেন না বলে জেদ করেন।

চিকিৎসা শেষে তরুণী রাতেই আবার চলে আসেন রাজু ভাস্কর্যের অনশন স্থলে। রোববার নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণের আন্দোলন কি শেষ হয়ে গেছে? তারা কি ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে ফেলছে? তাহলে কি আমার সাথে যারা ব্যভিচার করছে তাদেরও শাস্তি হবে? ফাঁসি হবে? নাকি, আমি নিজেই একটা কোণায় পড়ে মারা যাব?’

বিকাল পাঁচটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, বিড়বিড় করছেন দুর্বল হয়ে পড়া মেয়েটি। এই দেশে জন্ম নিয়ে ভুল হয়েছে কি না সেটা কাকে যেন জিজ্ঞেস করছেন।

এই তরুণীর দাবি, নুরদের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এবং সংগঠনের নেতা নাজমুল হাসান সোহাগ তাকে ধর্ষণ করেছেন। নুর মীমাংসার কথা বললেও পরে চুপ হয়ে যেতে বলেন। কথা না শুনলে অনলাইনে ‘পতিতা’ বলে প্রচার চালাবেন।

সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং নুর এই তরুণীর মামলাকে বানোয়াট বলছে। তাদের দাবি, তারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন বলে প্রশাসন এই মেয়েকে দিয়ে মামলা করিয়েছে।

তবে হাসান আল মামুনকে বহিষ্কার করেছে পরিষদ। যদিও অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ার দাবি করেছে সংগঠনের তদন্ত দল। দলের প্রধান বিন ইয়ামিন মোল্লার যুক্তি, তারা ধর্ষণের কোনো ছবি বা ভিডিও অথবা মেডিকেল রিপোর্ট পাননি। তাই কেবল মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ হয়েছে বলতে পারেন না।

এ বিভাগের আরো খবর