গ্যাসের মিটার দেয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেয়ার সময় আটক তিতাসের দুই কর্মকর্তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দুই জনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। টাকা না নিলে আরও তিন মাস থাকতে হবে জেলে।
রোববার ঢাকার ঢাকার ৪ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।
দুই আসামি ধরা পড়ান ১৩ বছর পর আদালত থেকে রায় আসল। ২০০৭ সালে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগের মিটার দিতে মালিক পক্ষর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছিলেন এই দুই জন। পরে র্যাব তাদের আটক করে।
দণ্ডিতরা হলেন ডেমরার তিতাস গ্যাস অফিসের উপসহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার ও টেকনিশিয়ান মো. আব্দুর রহিম।
রায় ঘোষণার কামরুজ্জামান সরকার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরেক আসামি আব্দুর রহিম অসুস্থ থাকায় রায় ঘোষণা পেছানোর আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী।
রায়ের বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর দক্ষিণখানে নিপ্পন সোয়েটার্সের মালিক ডি এম আসাদুজ্জামান আওলাদ তার প্রতিষ্ঠানের গ্যাস মিটার সংযোগের জন্য আবেদন করেন।
দুই আসামি তার কাছে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। বলেন, টাকা না দিলে মিটার সংযোগ দেওয়া হবে না।
গ্যাস বন্ধ থাকায় ব্যবসার ক্ষতির কথা বিবেচনা করে তিনি টাকা দিতে রাজি হন আওলাদ।
২০০৭ সালের ১০ জুন বেলা চারটার দিকে কামরুজ্জামান দুই হাজার টাকা এবং ১৩ জুন বিকেলে আব্দুর রহিম সাত হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানের সহকারী হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে নিয়ে যান।
বাকি টাকা মিটার সংযোগের দিন দেওয়ার জন্য আসামিরা চাপ সৃষ্টি করলে আওলাদ তা দিতে রাজি হন। আসামিরা জানান, ১৪ জুন মিটার সংযোগ দেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান আওলাদ তখন বিষয়টি র্যাব-১ কার্যালয়ে জানান। আর ঘুষ নেওয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।