ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলা জামায়াতের বর্তমান ও সাবেক আমিরসহ ২১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসুদ পারভেজ মামলায় রায় দেন।
রায়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রত্যেক আসামিকে দুই বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হওয়ায় প্রত্যেককে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেন বিচারক।
এসময় আসামি শহিদুল ইসলাম, মো. সানাউল্লাহ, কাজী আবু জাহের, একরামুল রহমান, ফরহাদ উদ্দিন, মহসিন মিয়া ও আজিজুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই জামায়াত-শিবির কর্মী।
পলাতক ১৪ আসামি হলেন- জেলা জামায়াতের সাবেক আমির নজরুল ইসলাম খাদেম, বর্তমান আমির সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, বর্তমান সেক্রেটারি কাজি ইয়াকুব আলী, সদর উপজেলার ভাটপাড়ার হেলাল উদ্দিন ভূইয়া, নবীনগরের আদালতপাড়ার গোলাম ফারুক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার রুস্তম আলী, একই এলাকার মো. নিপু, জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি রাশেদুল করিম রানা, পীরবাড়ির মো. নূরুল্লাহ, পশ্চিম মেড্ডার আশরাফুল ইসলাম বাবু, কসবার শাহপুরের সিরাজুল ইসলাম হুমায়ূন, সদরের মোহাম্মদপুরের জাহিদুল ইসলাম, আখাউড়ার দুর্গাপুরের বিল্লাল আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম ইকবাল।
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর চারদলীয় জোটের হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় জামায়াতের তৎকালীন আমিরসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন সদর থানার উপ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট তৎকালীন উপ পরিদর্শক আতিকুর রহমান ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীর আইনজীবী নাজমুল হোসেন। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসামিদের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান।