১২২ দিন পর স্প্যান বসল পদ্মাসেতুতে। ৩২ তম স্প্যান বসায় দৃশ্যমান সেতুর চার হাজার ৮০০ মিটার।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে বসবে আরো নয়টি স্প্যান।
শনিবার দিনভর জটিলতার পরদিন রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নং খুঁটিতে স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়।
মাওয়া প্রান্তে ১-২, ২-৩, ৩-৪, ৭-৮, ৮-৯, ৯-১০, ১০-১১, ১১-১২, ১২-১৩ নং খুঁটিতে বাকি স্প্যানগুলো বসবে।
সেতুর জাজিরা প্রান্তে সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ শেষ।
সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি থাকলেও তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যানবাহী ক্রেন খুঁটির কাছে নোঙর করতে না পারায় স্প্যানটি বসানো যায়নি।
৩১ তম স্প্যানটি চলতি বছরের ১০ জুন বসানো হয়। করোনা আর বন্যা পরিস্থিতির কারণে সেতুর অন্যান্য কাজ চললেও এরপর আর কোনো স্প্যান বসানো হয়নি।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগেরও বেশি এবং মূল সেতুর প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।
দেশের সবচেয়ে বড় সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে সেতুটির কাঠামো।
অর্থায়ন নিয়ে নানা জটিলতার পর ২০১২ সালে সেতুর কাজ উদ্বোধন হয়। তখন ২০১৮ সালের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার লক্ষ্য ঠিক হয়। পরে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যান চলাচল শুরুর আশা করা হয়।
তবে নদীর তলদেশে মাটির গঠন জটিলতায় বেশ কিছু পিলারের নকশা পাল্টানো এবং সব শেষ করোনা ভাইরাসের কারণে সেতুর কাজ আরও পিছিয়েছে।