তিন আসামি নুর হোসেন বাদল, আবুল কালাম ও মাইনুদ্দিন সাজুকে নিয়ে বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্ত সংস্থা পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা।
শনিবার সকালে ওই তিন আসামিকে নিয়ে যে বাড়িতে নির্যাতন হয়েছিল, সেখানে যান পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী। সঙ্গে ছিলেন সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পিবিআই কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে ২০ মিনিটের মতো অবস্থান করেন। তবে তারা কারও সঙ্গে কথা বলেননি।
শুক্রবার সকালে নোয়াখালী পিবিআই পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে একটি দল নির্যাতিত নারীকে নিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শন করেন। দুই তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়াও পিবিআই চট্টগ্রাম অঞ্চলের তদন্ত বিশেষজ্ঞ ফারুক আহমেদ ও বেগমগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাড়িটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে শুক্রবার নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা দুটি মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নারী নির্যাতন মামলাটি তদন্ত করছেন মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী। পর্নোগ্রাফি আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই রাতেই পুলিশ নির্যাতনের শিকার নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। তিনি বেগমগঞ্জ থানায় নয় জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। পরে ঘটনার মূল হোতা বলে চিহ্নিত দেলোয়ার হোসেনসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
এই তিন মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই মামলায় ২৮ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।