বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসকদের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২০ ১০:০৭

৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানাতে অনুরোধ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমি টাকা চাই না, দোষীদের বিচার চাই।

মাদারীপুর শহরের ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় একজন প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন তার স্বজনেরা।  

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রসূতির স্বজনেরা হাসপাতালের সামনে দোষীদের বিচারের দাবিতে অবস্থান নেন।

জানা গেছে, ডাসার থানার আটিপাড়া গ্রামের রুনা আক্তারের (২২) প্রসব বেদনা উঠলে সকাল ৮টার দিকে তার স্বজনরা ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করান।  সাড়ে ১০টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে  তার পুত্রসন্তান হয়। অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক ফায়সাল কবীর ও ফারজানা আফিয়া মেঘলা ।

এরপর হাসপাতাল থেকে প্রসূতির রক্ত লাগবে জানালে স্বামী রমজান মাল তা জোগাড় করতে যান। এ সময় নবজাতককে রেখে রুনা আক্তারকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে প্রসূতি মারা গেছেন বলে জানান। এরপর রুনা আক্তারের মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ এনে তাদের বিচারের দাবিতে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আপসরফার চেষ্টা চালান। কিন্তু রুনা আক্তারের স্বজনেরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে  সদর থানা পুলিশ ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে  গিয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করে।

রমজান মাল বলেন, ‘আমাকে রক্ত জোগাড় করতে বলে হাসপাতালের লোকজন অ্যাম্বুেলেন্স ভাড়া করে আমার স্ত্রীকে ফরিদপুর পাঠিয়ে দেয়। তারা কোনো কাগজপত্রও দেয়নি। পরে ফরিদপুর গিয়ে জেনেছি, সিজারের সময়ই আমার স্ত্রী মারা গেছেন।

রমজান আরও বলেন,‘৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানাতে অনুরোধ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমি টাকা চাই না, দোষীদের বিচার চাই।’

মনিরুজ্জামান মনির ভুল চিকিৎসার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘রোগীর উচ্চ রক্তচাপ বেশি থাকায় চিকিৎসকরা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে গিয়ে রোগী মারা গেছেন। এতে আমাদের কোন অবহেলা ছিল না।’

টাকা দিয়ে আপসরফার চেষ্টার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোগীর পরিবার গরিব হওয়ায় দাফনের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছি।’

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ মৃতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি মৃতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর