যশোরে বাসে তরুণীর দলগত ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বাসটির চালকের সহকারী মনিরুল ইসলামসহ সাত জন গ্রেফতার হয়েছেন। জব্দ করা হয়েছে বাসটি।
ওই তরুণী বাদী হয়ে শুক্রবার চালকের সহকারী মনিরুলসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতার মনিরুলের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়। তিনি যশোর সদর উপজেলার এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
গ্রেফতার অন্য আসামিদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- কৃষ্ণ, সুবাস সিংহ, রকিবুল ইসলাম রকিব, মইনুল ইসলাম মইন ও শাহিন আহমেদ জনি।
ওই তরুণী জানান, তার বাবার বাড়ি মাগুরায়। প্রায় এক বছর আগে রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে আয়ার চাকরি পাওয়ার পর থেকে রাজশাহীতে থাকেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য রাজশাহী থেকে এমকে পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। তবে ঘুমিয়ে পড়ায় তিনি গন্তব্যস্থলে নামতে পারেননি। পরে কয়েকজন যুবকের ধস্তাধস্তিতে ঘুম ভাঙে। যুবকেরা তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওই নারীর।
ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান শুক্রবার জানান, শহরের মনিহার বাসটার্মিনাল এলাকার লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা ওই নারীকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। পরে মনিরুলকে পুলিশ আটক করে। ওই তরুণীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ জানান, তরুণীর শারীরিক অবস্থা এখন ভালো। পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
বাসে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে যশোর শহরে মানববন্ধন-সভা করেছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
বিকেলে শহরের চিত্রা মোড়ে মানববন্ধন ও সভা করেছে উদীচী শিল্পগোষ্ঠী। দড়াটানা মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন।