বরগুনায় আবদুল্লাহ নামের ছয় বছরের এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙা এলাকার বিষখালী নদীতে শিশুটিকে ডুবিয়ে দেয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার লাশ উদ্ধার হয়েছে।
শিশুটির ছোট ভাই দেড় বছরের আফসানকেও একই ভাবে মারার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা শিশুটির দুলাভাই মোসলেমকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
নিহত শিশু আবদুল্লাহর বাবা মো. ছগীর জানান, তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর আবদুল্লাহ ও আফসানকে তার মেয়েরা লালন-পালন করতেন।
ছগীর বলেন, ‘মোসলেম আমার বড় মেয়ে ছবির জামাতা। ঢাকায় থাকাকালে আমার মেয়ে ও নাতিকে ঠিকমতো ভরণপোষণ দিতেন না মোসলেম। তাই মাস খানেক আগে মেয়ে ছবি সন্তান নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। সপ্তাহখানে আগে মোসলেম এসে সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমরা মোসলেমের কাছে নাতিকে দিতে রাজি হইনি। এর জেরে আমার ছেলেকে হত্যা করেন মোসলেম।’
আবদুল্লাহকে পানিতে চুবিয়ে মেরে বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন মোসলেম। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে এসেছিলাম, কিন্ত স্ত্রী ও শ্বশুর নিয়ে যেতে দেননি। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে আমি আবদুল্লাহ ও আফসানকে হত্যার পরিকল্পনা করি।’
বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা শুক্রবার দিনভর চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেননি। জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়নের মোল্লারহোড়া এলাকা থেকে আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। মোসলেমের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত মোসলেম সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।