ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন জোসনা বেগম। ভেবেছিলেন দ্বিতীয় সন্তান এলে কমবে পারিবারিক কলহ। কিন্তু তার আগেই নির্মমতার শিকার হলেন গৃহবধূ।
বুধবার তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল স্বামী সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে। পরদিন লাশ টুকরো টুকরো করে বাড়ির পাশে গুম করার চেষ্টা করেন সাদ্দাম। এসময় তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
সাদ্দাম শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে সংযুক্ত ছিলেন। থাকতেন ফাঁড়ির পাশে একটি ভাড়া বাসায়।
নিহত জোসনা বেগম (৩০) সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। সাদ্দাম ও জোসনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। জোসনার প্রথম ঘরে ১০ বছর বয়সের ছেলে সন্তান রয়েছে।
হত্যার ঘটনায় সাদ্দামকে আসামি করে শুক্রবার সকালে শরণখোলা থানায় মামলা করেন নিহতের মা। জোসনার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, আগের ঘরের সন্তান নিয়ে কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন সাদ্দাম।
নিহতের বোন রেহেনা বেগমের অভিযোগ, জোসনা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও চান তিনি।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় নিউজবাংলাকে জানান, সাদ্দামকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।