ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন সেই ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন তিনি।
তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক তিলোত্তমা শিকদারসহ ২১ ছাত্রী।
অনশনরত শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘ধর্ষণ এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। আমিও একজন ভুক্তভোগী। এর আগে লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছি।
‘এখন পর্যন্ত মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমার এই আমরণ অনশন কর্মসূচি।’
তিনি বলেন, 'সারাদেশে আন্দোলন হচ্ছে, নুররা নিজেরাও আন্দোলন করছে। অথচ আমার অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে আছে।
‘নোয়াখালীর ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলো। আর আমি তারও আগে মামলা করেছি। এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি। মূল আসামি মামুন ফেসবুকে এক্টিভ। ধর্ষণবিরোধী পোস্ট দেয় ফেসবুকে। অথচ তাকে নাকি ধরা যাচ্ছে না।’
অনশনরত শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ তদন্ত করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় নিয়ে উধাও। দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে খবর নাই। আর যারা অপরাধী, তাদেরই লোক যদি তদন্ত করে তাহলে কীভাবে হবে?
আমার সঙ্গে ন্যয়বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাব।’
গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেন।
প্রথম মামলায় এক নম্বর আসামি হাসান আল মামুন আর দ্বিতীয় মামলায় এক নম্বর আসামি পরিষদের সাবেক নেতা নাজমুল হাসান।
সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ এনে সেই ছাত্রী শাহবাগ থানায় নুরের কয়েকজন সমর্থকের বিরুদ্ধেও আরেকটি মামলা করেছেন।