প্রায় এক বছর হাসপাতালে থাকার পর অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইইউ) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার (ভারপ্রাপ্ত) সুভাষ কুমার দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সম্রাট ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতকাল হাসপাতাল থেকে কারাগারে আনা হয়েছে।’
রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, মাদক, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারের পর বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের এক মামলায় সম্রাটের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে সাজা খাটা শেষ হয়েছে। এর বেশিরভাগ সময়ই তিনি হাসপাতালে কাটিয়েছেন।
বুকে ব্যাথা উঠলে সম্রাটকে গত নভেম্বরের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। তখন তার হার্টে সমস্যার তথ্য জানান চিকিৎসকরা।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক (হাসপাতাল) জুলফিকার আহমেদ আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনার (সম্রাট) হার্টের সমস্যা রয়েছে। তার হার্টবিট অনিয়মিত ছিল। তবে এখন স্থিতিশীল আছে। যেকারণে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ১৫ দিন পর আবার চেকআপ করা হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন সম্রাট। অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর ঘটনায় নাম আসার পর তাকে বহিষ্কার করে সংগঠন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি
সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে একটি মামলায় সাজা খাটা শেষ হলেও আরও চারটির বিচার শুরু হয়নি এখনও।
অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে দুটি মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য নিউজবাংলাকে জানান, দুদকের মামলায় গত আগস্টে সম্রাটকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
একই মামলায় তার স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ও ভাই ফরিদ আহমেদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। এর তদন্ত এখনও চলছে।