নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের তিন মামলার একজন ছাড়া সব আসামি গ্রেফতার হয়েছেন।
সবশেষ ধরা পড়েছেন সামছুদ্দিন সুমন। তিনি নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলার ছয় নম্বর আসামি।
চতুর্থ আসামি ইস্রাফিল হোসেন এখনও পলাতক আছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে নোয়াখালী ও হবিগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিম রেমা-কালেঙ্গা বনাঞ্চলের ত্রিপুরা পল্লী থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
হবিগঞ্জ পিবিআই এর পরিদর্শক মুক্তাদির হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, সুমন রেমা-কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করা হয়। গত রোববার সে ভিডিও ফেসবুকে ফাঁস হয়। উঠে নিন্দার ঝড়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের নির্দেশে তৎপর হয় বেগমগঞ্জ থানা। মামলার আগেই আটক হয় একজন।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী পাশের উপজেলায় বোনের বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন। ঘটনা জানাজানি হলে ওই রাতেই পুলিশ তাকে নিয়ে আসে বেগমগঞ্জ। নয় জনের বিরুদ্ধে করেন দুটি মামলা; একটি নির্যাতনের ঘটনায়, একটি পর্নোগ্রাফি আইনে।
এই মামলায় নাম না থাকলেও র্যাব জানায়, বেগমগঞ্জে দেলোয়ার হোসেনের বাহিনী এই ঘটনায় জড়িত।
দেলোয়ারকে আটক করা হয় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও গুলি। পরে তাকেসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
প্রথম দুই মামলার আসামিরা হলেন: নুর হোসেন বাদল, মো. রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু মিয়া, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যা।
পরে দেলোয়ার ও আগের দুই মামলার আসামি আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
ইস্রাফিল ছাড়া সবাই এবং এজাহারের বাইরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও মাইন উদ্দিনকেও আটক করা হয়।
আসামিদের মধ্যে ১০ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এই মামলায় দ্রুত প্রতিবেদন দেব আদালতে।’