দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর সাত মাস পার হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর)। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার জনের। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৬০ জনের। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩১৬ জন।
বিশ্বে করোনা শনাক্ত বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৬তম; আর মৃত্যুর হিসাবে ২৯তম।
স্বাস্থ্য অধিদফতের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত তিন দিন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও বৃহস্পতিবার কমেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১ হাজার ৪৪১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যা বুধবার ছিল ১ হাজার ৫২০ জন। এ নিয়ে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হল ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ জন, বুধবারে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৫ জন। এই নিয়ে ৭ মাসে মোট মৃত্যু হলো ৫ হাজার ৪৬০ জনের।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১০৯টি ল্যাবে ১২ হাজার ৬০৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৩টি।
২৪ ঘণ্টায় আরো এক হাজার ৬৮৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩১৬ জন সুস্থ হলেন ।
মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শনাক্ত রোগীর বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং মৃতের হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্নেষণে দেখা যায়, মার্চে মৃতের সংখ্যা ছিল পাঁচ জন। এরপর জুন মাস পর্যন্ত বেড়েছে মৃত্যু। এপ্রিলে মারা যান ১৬৩ জন, মে’তে ৪৮২ জন ও জুনে এক হাজার ১৯৭ জন। জুনের পর এই সংখ্যা আস্তে আস্তে কম আসে।
এ পর্যন্ত মৃত ৫ হাজার ৪৬০ জনের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ২১৩ জন ও নারী ১ হাজার ২৪৭ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৭.১৬ শতাংশ ও নারী ২২.৮৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যে ২০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্য্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে ১১ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে চার জন, রাজশাহী ও রংপুরে দুই জন করে এবং ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১৯ জনই মারা গেছেন হাসপাতালে, একজন বাড়িতে।