যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে করোনার চিকিৎসায় যে ওষুধ দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশেও করোনা রোগীদের সেই ওষুধ দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘হেলথ মিনিস্টার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি- ২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
করোনার টিকার প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকার জন্য টাকার কোনো অভাব হবে না। এরই মধ্যে সরকার করোনার ভ্যাকসিনের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনা চলছে।
‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে করোনার চিকিৎসায় যে ওষুধ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশেও করোনা রোগীদের সেই ওষুধ দেয়া হচ্ছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের কারণে করোনাভাইরাস সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। যে কারণে ৭ মাসে রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। দেশের কোভিড-১৯ নির্ধারিত শয্যার ৭০ শতাংশ ফাঁকা পড়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্যন্যা দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা কম। এই কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন স্বাস্থ্যসেবা দানকারী কর্মীরা। এই জন্য তাদের আমি অভিনন্দন জানাই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসলেও সেটা এখন বড় কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না। তবে আমাদের আরো সচেতনতা বাড়ানোর দরকার আছে।’
এ সময় নিজের জন্য হলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ জানান তিনি।
ডব্লিউএইচওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বার্নার্ড জুরস রানার বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম।