আসছে শীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা হাসপাতালগুলোকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘হাওরের বিস্ময় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস আগামী শীতকালে বাড়তে পারে। সেটা মাথায় রেখেই প্রত্যেকটা জেলা হাসপাতালে আইসিইউ নির্মাণ থেকে শুরু করে অক্সিজেনের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।’
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ২ হাজার ডাক্তার, ৩ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি, টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কাজই হচ্ছে জনগণের কাজ করা, জনগণের কল্যাণ করা।’
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে কষ্টের বিষয় আমাদের ছোটছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না, কলেজে যেতে পারছে না, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। তাদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারপরও আমরা চাচ্ছি তাদের পড়াশোনাটা যাতে চলমান থাকে।’
এ সময় করোনাকালে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে ডিজিটাল পদ্ধতিসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন তিনি।
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলার দিকেও নজর দিতে হবে। খোলা বাতাসে থাকা, রোদে থাকা। করোনাভাইরাস দূর করার জন্য এটা একান্তভাবে প্রয়োজন।’
এ সময় গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
কিশোরগঞ্জ প্রান্তে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ডিসি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।