কক্সবাজারে আঞ্চলিক গানের জনপ্রিয় শিল্পী জনি দে কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সকালে ফাঁকা রাস্তায় খুনের পর পালিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ঈদগাহ-ঈদগড়-বাইশারি সড়কের হিমছড়ি ঢালায় মুখোশধারীরাগুলি করে পালিয়ে যায় এই কিশোরকে।
১৮ বছর বয়সী জনি দের গান কক্সবাজারে বেশ জনপ্রিয়। তিনি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতেন। পাশাপাশি ইউটিউবেও তার একটি চ্যানেল রয়েছে।
জনি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বাড়ি রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের চরপাড়ার নতুনপাড়া এলাকায়।
কারা এবং কেন খুন করেছে এই শিল্পীকে, সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। তার সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল কি না, বা এটি কোনো ছিনতাই চেষ্টা কি না, সেটি জানতে চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জনির ওপর আগেও দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল হালিম। বলেন, ‘পূর্ব কোনো ঘটনার জেরে এটা হলো কিনা তাও খতিয়ে দেখছি আমরা।’
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুনিরুল গিয়াস জানান, আগের রাতে একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়ে সকালে বাড়ি ফিরছিলেন জনি। স্থানীয়দের কাছ থেকে তারা জেনেছেন, দুর্বৃত্তরা তাকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি থামানোর চেষ্টা করে।
সেখানে জনিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গুলি করার সময় জনির পাশেই ছিলেন তার বাবা তপন দে। তার বরাত দিয়ে একজন স্বজন জানিয়েছেন, গান পরিবেশন শেষে ফেরার সময় মুখোশধারী ডাকাতরা গাড়িটির গতিরোধ করে। এরপর জনিকে গুলি করে তাঁরা জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
কক্সবাজার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সন্তানের নিথর দেহ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন জনির বাবা। তাকেই দিতে হয় চিকিৎসা।
যে এলাকায় জনি খুন হয়েছেন, সেই সড়কটির হিমছড়ি ঢালায় ডাকাতের গুলিতে একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।
তার মৃত্যুতে কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছাড়ায় নেমেছে।