নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বুধবার রাতে উপজেলার পূর্ব একলাশপুর গ্রাম থেকে মাঈন উদ্দিন শাহেদকে আটক করা হয়। তিনি মামলার এজহারভুক্ত আসামি নন।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন রশীদ চৌধুরী জানান, নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়। পরে এই মামলায় মাঈনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি দেলোয়ারের সহযোগী। তাকে নিয়ে এ মামলায় গ্রেফতার হলো ১০ জন।
এর আগে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আবুল কালাম নামে একজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১। বুধবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বেগমগঞ্জ থানায় দেয় র্যাব।
নোয়াখালীতে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা হয়। ঘটনার ৩২ দিন পর গত রোববার এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত, ধর্ষণ-নির্যাতনের কঠোর শাস্তির দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী প্রথমে নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি এবং পরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
তিনটি মামলায় নাম উল্লেখ করা ১০ জন আসামির মধ্যে পুলিশ ও র্যাব এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ঘটনার মদদদাতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, মামলার প্রধান আসামি বাদলও রয়েছেন।
আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের নাম এজাহারে নেই। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসাবে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।