ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিকে অযৌক্তিক বলছেন না সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি মনে করেন, অন্য শাস্তি দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এদের (ধর্ষক) ছোটখাট লঘুদণ্ড দিয়ে লাভ নেই, সর্বোচ্চ বিচারে যে দাবি উঠেছে, আমার মনে হয় এটা অযৌক্তিক নয়।’
‘এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে আপোষহীন মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
বুধবার তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের পর ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরাও মনে করেন ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে দলগত ধর্ষণ বা ধর্ষণে মৃত্যু হলে প্রাণদণ্ডের বিধান আছে।
ধর্ষকদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় না দিতে রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বানও জানান কাদের। বলেন, ‘ধর্ষণকারী যেন কোন রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঠিকানা না হয় এবং ধর্ষকদের যেন কোন রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় না দেয়।’
‘যে সকল অপরাধী বা ধর্ষক এ সকল ঘৃণ্য কাজ করছে, তাদের জন্য শাস্তি শেষ কথা নয়। তারা কোন রাজনৈতিক দলের ছায়ায় থাকলে তাদের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
শিশুদের প্রতি অন্যায়ে সরকার কঠোর অবস্থানে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে যে ঘটনাই ঘটুক, কোনটাকেই সরকার ছাড় দেয়নি। অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে।’
‘বিচার কাজ চলমান রয়েছে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার। কোনটির রায় ইতিমধ্যে হয়েছে, দুর্নীতি এবং অপকর্মের মুলোৎপাটনে শেখ হাসিনার কোনো পিছুটান নেই।’
নারীর প্রতি সহিংসতা, মাদক, সাইবার অপরাধ, গুজবের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ারও তাগিদ দেন কাদের। বলেন, ‘এসব নষ্ট রুচির অপরাধীদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।’
বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণ বাড়ছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবও দেন কাদের। বলেন, ‘বিচার শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। তার আগে ফাহিমা, মুন্নি পূর্ণিমাদের কথাই ভাবুন।
‘একটি ঘটানারও কি বিচার হয়েছে? একটি অপরাধেরও কি দণ্ড দেয়া হয়েছে? বিএনপির দলীয় লোকদের একটিরও কি বিচার হয়েছে? তাদের মুখে এটা শোভা পায় না।’