বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমরাও চাই উপযুক্ত বিচার হোক: প্রধান বিচারপতি

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২০ ২৩:০১

কিন্তু উপযুক্ত যেখানে বিচার হচ্ছে…আসামি খালাস হচ্ছে সেটা যে রকম বলবেন, সাজাও হচ্ছে, মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হচ্ছে, সেটাও জনগণের সামনে তুলে ধরলে জনগণের স্বস্তি হবে

নারী নির্যাতনের ‘উপযুক্ত বিচার’ করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। মামলায় সাজার বিষয়টি প্রচারের ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলমান কর্মসূচির মধ্যে বুধবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে এক শোক সভায় এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের স্মরণে শোক সভার আয়োজন করে ল' রিপোর্টার্স ফোরাম।

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা জুডিশিয়ারিতে আছি আমরাও চাই উপযুক্ত বিচার হোক।’

সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার ঘটনাটি ক্ষুব্ধ করেছে দেশকে। উঠে আসছে ক্রমাগত ধর্ষণের বিষয়টি। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি।

বিক্ষোভকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানাচ্ছে। তারা অভিযোগ তুলছে ধর্ষণের বিচার হচ্ছে না। সিংহভাগ আসামি ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কিন্তু উপযুক্ত যেখানে বিচার হচ্ছে…আসামি খালাস হচ্ছে সেটা যে রকম বলবেন, সাজাও হচ্ছে, মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হচ্ছে, সেটাও জনগণের সামনে তুলে ধরলে জনগণের স্বস্তি হবে।’

‘শুধু ছাড়ছে না, তার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসিও হচ্ছে, মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে, সেটাও মানুষের জানার অধিকার আছে।’

প্রায় দুই দশক আগে চট্টগ্রামের আলোচিত গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামির সাজা পাল্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়টিও উঠে আসে বক্তব্যে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জেল আপিল করতে গিয়ে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত অনেক আসামিকে আমরা ছেড়েছি। কারণ আমরা সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছি যে, আমরা ন্যায়বিচার করব। শপথের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিচার করে ছেড়েছি।’

১৬ বছর কনডেম সেলে থাকা এক আসামির খালাসের বিষয়টিও উঠে আসে বক্তব্যে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) প্রতিবেদন করেছেন এতদিন কনডেম সেলে থাকার পর আমরা ছেড়েছি কেন। কিন্তু আমরা গত কয়েকদিনে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছি, এটার উপর সংবাদ করেননি। আজকে এক মামলায় তিনজনের ডেথ নিশ্চিত করেছি। এটা নিয়ে কোনো সংবাদপত্রে কোনো নিউজ নাই।’

মাহবুবে আলমকে স্মরণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি বিচার অঙ্গনে অনিয়ম দূর করতে সেন্ট্রাল ফাইলিং ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন। এটা করলে আদালতের অনিয়ম ৫০ শতাংশ দূর হয়ে যাবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাশহুদুল হকের সভাপতিত্বে শোক সভায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মাহবুব আলী, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর