নাটোরের সিংড়ার চলনবিলসহ আত্রাই নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঘর-বাড়ি হারিয়ে বেশ কিছু লোক স্কুল-কলেজ, মসজিদ ও অন্যের বাড়ির উঠানে আশ্রয় নিয়েছেন।
মঙ্গলবার শোলাকুড়ার ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্রমেই স্রোত ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। শোলাকুড়া এলাকায় বসতভিটা ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সেখানে শতাধিক শ্রমিক জিও ব্যাগ ফেলে ঘর-বাড়ি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত হাসান ইমাম বলেন, আত্রাই নদীর ভাঙনে শোলাকুড়া এলাকায় এখন পর্যন্ত ১৬টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে।
সোমবার রাত থেকে পানির প্রবল স্রোত। এতে আরো প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। জিও ব্যাগ ও বাঁশের বেড়া দিয়েও তেমন কাজ হচ্ছে না।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এটা ভয়াবহ বন্যা। চলনবিল অধ্যুষিত এলাকার কৃষি, মৎস্য, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতের ক্ষয়ক্ষতি অপূরণীয়।
তারপরও প্রশাসনের সহযোগিতা ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনায় ভাঙন রোধে নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’