ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বিয়ের নামে প্রতারণা আর সালিশের নামে অভিযুক্তকে রক্ষার ঘটনায় করা মামলায় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে পুলিশ মহামায়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল করিম সবুজসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যরা হলেন ফজলুল করিম প্রকাশ বাবু, তার মা রেজিয়া বেগম, বোন রাবেয়া আক্তার মুক্তা, সালিশদার আবুল হোসেন।
সবুজ ছাগলনাইয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন এক নারী।
বুধবার দুপুরে পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে তিন পুরুষ আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে। ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামরুল ইসলাম ১২ অক্টোবর শুনানির দিন ঠিক করে আসামিদের কারাগারে পাঠান।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল ভুয়া কাজী বানিয়ে এক তরুণীকে বিয়ে করেন ফজলুল করিম বাবু।
এক পর্যায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তখন তরুণীর পরিবার প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারে। তারা বিষয়টি বাবুর পরিবারকে জানান এবং বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু বাবুর পরিবার উল্টো তরুণীর পরিবারকে হেনস্তা ও তরুণীকে মারধর করে।
ওসি বলেন, ‘এরপর স্থানীয় ইউপি মেম্বার নুরুল করিম সবুজসহ অন্যান্যরা সালিশ-মীমাংসার মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন।’
৬ অক্টোবর ওই তরুণী ছাগলনাইয়া থানায় বাবুকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। এতে বাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
পুলিশ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনে। পরে ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় গ্রেফতার দেখায়।