দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার হিসাবে বেড়েছে রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। মঙ্গলবার ৩০ জনের মৃত্যু হয়, বুধবার হয়েছে ৩৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫২০ জন। মঙ্গলবার শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১১.৬৬ শতাংশ। এর আগের দিন ছিল ১২.১৪ শতাংশ।
এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৮১ শতাংশ; মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত মঙ্গলবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ জন, সোমবার ২৭ জন এবং রোববার ২৩ হন।
মঙ্গলবার রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক হাজার ৪৯৯ জন, শনান্তের হার ছিল, ১২.১৪ শতাংশ।
সোমবার শনাক্ত হয় এক হাজার ৪৪২ জন, হার ছিল ১২.২৫ ছিল। রোববার শনাক্ত হয় এক হাজার ১২৫ জন, হার ছিল ১১. ৪১ শতাংশ।
শনিবার শনাক্ত হয় এক হাজার ১৮২ জন, শনাক্তের হার ছিল ১২.১৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ; প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ।
সবমিলে শনাক্ত রোগী দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫১ জন, যাদের ৫ হাজার ৪৪০ জন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩০৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী ১০জন। এপর্যন্ত পুরুষ মারা গছেন ৪ হাজার ২০০ জন ও নারী ১ হাজার ১২৪০। শনাক্তের হার পুরুষ ৭৭.২১ শতাংশ ও নারী ২২.৭৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে মৃতদের বয়স বিভাজন নিয়ে বলা হয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে; তার বয়স দশের নিচে।
১০-২০ বছর বয়সীদের মধ্যে মারা গেছে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের আটজন।
আর ৬০ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছেন ২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ঢাকায় ১৯ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ছয়জন, খুলনায় তিনজন, রাজশাহী ও বরিশালে দুজন করে এবং সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন।
এদের মধ্যে ৩৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন; একজন ছিলেন বাড়িতে।