রেললাইনসহ কালুরঘাট সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। ২০২১ সালের প্রথম দিকে শুরু হবে সেতুর কাজ।
এরই মধ্যে সেতুর নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে, স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বুধবার চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সেতুর নির্মাণ স্থান পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, ‘সেতুটি আগেই নির্মাণ করা যেত। একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল যেখানে আলাদা রেলসেতু হবে নাকি রেল ও সড়ক এক সঙ্গে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেল কাম রোড সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
‘আশা করা যাচ্ছে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ এর মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।’
প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) এর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর জন্য যেমন এ সেতুটি খুবই দরকার, তেমনি ভবিষ্যতে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি রেললাইন সংযোগ স্থাপনের জন্য অতীব জরুরি।’
২০২২ সালের মধ্যে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হয়ে যাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘একই সময়ের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ শেষ করার চেষ্টা করব।’
কালুরঘাটে ১৯৩১ সালে মিটার গেজ লাইনের রেল সেতু নির্মাণ হয়। ১৯৬২ সালে এতে সড়ক সেতু যুক্ত করা হয়। স্থাপনাটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় মনে করে, নতুন সেতুটি নির্মাণ হলে নিরবচ্ছিন্ন রেল সেবা নিশ্চিত করা যাবে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন পরিচালনার বাধা দূর হবে।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য করিডোরের পাশাপাশি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশবিশেষ হিসেবে সেতুটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করছে মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষ, রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামানসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।