একজন সাক্ষীর জন্য ৩২ বছর ধরে ঝুলে থাকা সীমা হত্যা মামলার বিচার তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যে সাক্ষীর জন্য মামলাটি আটকে আছে, তিনি না এলে অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ দেখে বিচার শেষ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ‘৩২ বছর ধরে ঝুলে আছে সীমা হত্যার বিচার’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন।
ইশরাত বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আদালতের নজরে আনি। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয়।... এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না করলে তার বিরুদ্ধে (ট্রাইব্যুনাল) বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।‘
১৯৮৮ সালের ২৬ এপ্রিল পুরান ঢাকায় জগন্নাথ সাহা রোডে নিজ বাসায় ছুরিকাঘাতে খুন হন সীমা মোহাম্মদী। এই ঘটনায় আহমদ ওরফে আমিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সীমার মা ইজহার মোহাম্মদী। তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, সীমাকে বিয়ে করতে না পেরে এই খুন করা হয়।
আসামি পলাতক থাকায় ১৯৯৯ সালের ২২ জুন তাকে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় আদালত।
২০০১ সালে ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠন হলেও সাক্ষ্য দিতে তদন্ত কর্মকর্তা ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের অনীহার কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিতে না আসায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়।
সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত ১১২ বার তারিখ পড়েছে, ১১ জন বিচারক বদল হয়েছে।
মামলাটি বর্তমানে ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।