নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় সারা দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। তারা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও মাইজদী প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়। জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক সহ কয়েকটি সামাজিক সাংগঠনিক। বিকেলে বেগমঞ্জে বিএনপি, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পৃথক মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন শেষে নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ দেশ ব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পায়েন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সংহতি জনিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ৬ দফা দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ধর্ষণের বিচারের জন্য দ্রুত আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে যেকোনো ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড এবং গণধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রকাশ্য ফাঁসি, ১৮ বছরের নিচে কোনো কিশোর/কিশোরী ধর্ষণের শিকার হলে তার পড়াশুনা, চিকিৎসাসহ সকল দায়ভার রাষ্ট্রের নিতে হবে।
সকাল ১০টায় কুমিল্লার কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে অন্তত ১২ টি সংগঠনের ব্যানারে মানবন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত হয় গোটা কান্দিরপাড়। তাদের সঙ্গ যোগ দেন মানবাধীকারকর্মী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
দুপুরে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে একাধিক বেসরকারি সংস্থা ও নারী সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে কয়েকটি সংগঠনের নারী নেত্রীকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ চোখে কালো কাপড় বেঁধে অংশ নেয়।
মেহেরপুরের গাংনী প্রেসক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে টাঙ্গাইলের সাধারণ শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বিথি। সিলেট এমসি কলেজ ও নোয়াখালীসহ সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে একাত্মতা পোষণ করে তার সঙ্গে যোগ দেয় সাধারণ ছাত্র সমাজ।
এ সময় ফাতেমা আক্তার বিথি বলেন, ‘সারা দেশে যে ধর্ষণ শুরু হয়েছে তা থেকে আমরা বাচতে চাই। আমরা ধর্ষকের শাস্তি চাই। আমার সঙ্গে যারা যোগ দিয়েছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দাবি একটাই, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ধর্ষকের ঠাই নাই।’
বেলা ১১টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজার চৌমুহনায় ব্লাড ডোনেশন গ্রুপ (বিডিজি) এর আয়োজনে মানববন্ধন হয়।