কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও লম্বাশিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মঙ্গলবার দফায় দফায় সংঘর্ষে চার জন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার এই সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মুন্না, ভাই মোহাম্মদ ও গিয়াস উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুন্না গ্রুপের সঙ্গে আরেকটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। রোববার ভোরে তাদের মধ্যে গোলাগুলিতে ইমাম শরীফ ও শামশুল হক নিহত হন।
এর জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুতুপালং ও লম্বাশিয়া ক্যাম্পে সংঘর্ষ হয়। সেখানে গিয়াস উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি মুন্না বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম চার জনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের মধ্যে এক জনকে গলা কেটে ও তিন জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ এ ঘটনায় এক আনসার সদস্য আহত হয়েছেন৷
তিনি আরো জানান, ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত আর্মড ব্যাটালিয়ান মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এইচ কে রফিক উদ্দিন নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে এই খুনের ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এতে গিয়াস উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করতে দেখা যায়।
লম্বাশিয়া এলাকার এক ওষুধ দোকানী জানান, গত কয়েকদিন রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন এলাকায় স্বর্ণ ও মাদককে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে কয়েকটি গ্রুপ। তাদের হাতে কয়েকজন সাধারণ রোহিঙ্গাও প্রাণ হারিয়েছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরসি) অফিসের একজন কর্মকর্তা চার জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত পাঁচ দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলায় আরও সাত জন খুন হয়েছেন।
ক্যাম্পে এই ধরনের ঘটনায় এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।