প্রত্যাবাসনে অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা পুর্নবাসন কাজের পরিধি বাড়াচ্ছে সরকার। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এদের জীবনমান উন্নয়নে নতুন করে একই জেলার আরো ছয় জায়গায় রাস্তাঘাট, কালভার্টসহ অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ নামে আড়াই বছর আগে নেয়া চলমান একটি প্রকল্পের আওতায় এদের পুনর্বাসন করা হয়।
সরকার বলছে, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণও বাড়ছে। ফলে পানি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ বিদ্যমান অবকাঠামো অপ্রতুল হয়ে পড়ছে। এ কারণে প্রকল্পের আওতা বাড়ানো হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এ প্রকল্পের ফলে শুধু রোহিঙ্গা নয়, স্থানীয় জনগণও উপকৃত হবে।
সংশোধিত প্রকল্পটি মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একেনক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।
একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের প্রকল্পটিসহ ১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প পাস হয়।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একনেক সভায় অংশ নেন।
শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা নিউজবাংলাকে বলেন, রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশে আছে, ততদিন তাদের নিরাপদে রাখতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এদের পুনর্বাসনে ১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বড় একটি প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ সরকার, যা ২০১৮ সালে শুরু হয়। তিন বছর মেয়াদি মূল প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী বছরের জুনে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।