করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা ওমরাহ পালনের সুযোগ দিতে সৌদি সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি উল্লেখ করে এ নিয়ে অর্থ লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ওমরাহ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বলে জানিতে পেরেছে তারা। এটিকে প্রতারণা উল্লেখ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে।
মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে রাজকীয় সৌদি সরকার থেকে পবিত্র ওমরাহ পালনের কোন আনুষ্ঠানিক পত্র এখনও পাওয়া যায়নি। তবুও কিছু ব্যক্তি ও কিছু এজেন্সি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্যাকেজ ঘোষণা করছে।’
‘কেবল তাই না, তারা নির্দিষ্ট দিন উল্লেখ করে পবিত্র ওমরাহ পালনের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।’
হজের পাশাপাশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সারা বছর ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যায়। বাংলাদেশের হজ এজেন্সিগুলোর আয়ের একটি বড় অংশ আসে এই খাত থেকে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পর চলতি বছরের শুরুর দিকে আকাশপথ বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব। এক পর্যায়ে সীমিত করে দেওয়া হয় মক্কা-মদিনায় ধর্মীয় আচার।
চলতি বছর হজ পালিত হয়েছে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ দিয়ে, যাতে বাংলাদেশ থেকে কেউ যোগ দিতে পারেননি।
সম্প্রতি সৌদি সরকার প্রবাসী কর্মীদের জন্য আকাশপথ খুলে দিয়েছে। ওমরাহ আবার চালু হবে বলে সে দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এরপর বাংলাদেশে প্যাকেজ ঘোষণা করে টাকা তোলা শুরু করে দেয় বিভিন্ন হজ এজেন্সি।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সৌদি সরকার থেকে ওমরাহ পালনের অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তার আগে ওমরাহ নিয়ে কোন এজেন্সি বা ব্যক্তিকে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে।’
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে ধর্ম মন্ত্রণালয় নিজেই ঘোষণা দেবে বলেও জানান আনোয়ার হোসেন।