বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশ্ন ফাঁসের ‘হোতা’ গ্রেফতার, ব্যাংকে জমা ২৫ কোটি

  • অনির্বাণ বিশ্বাস, ঢাকা   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২০ ১৫:১৮

মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার আবদুস সালাম স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিন ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। এই চক্রে জড়িত কয়েকজন চিকিৎসক এবং কোচিং সেন্টার: সিআইডি

মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার একজন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ২৫ কোটি টাকা মিলেছে।

গ্রেফতার আবদুস সালাম স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিন ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। তাকে এই চক্রের অন্যতম হোতা বলছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।

সোমবার সালামকে ঢাকার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান সিআইডির সাইবার পুলিশের বিশেষ সুপার এস এম আশরাফুল আলম।

ছোট পদে চাকরি করলেও সালামের নামে ৩৮টি এবং তার স্ত্রীর নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য মিলেছে। সালামের নামে ২১ কোটি ২৭ লাখ এবং স্ত্রীর নামে তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা টাকা জমা আছে।

নগদ টাকা ছাড়াও সালামের নামে বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমি-জমা পাওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস চক্রটির সন্ধান পাওয়ার কথা জানায় সিআইডি।

সে সময় গ্রেফতার সানোয়ার হোসেনের তথ্যে গত ১৯ জুলাই গ্রেফতার করা হয় জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া, তার সহযোগী জাকির হোসেন দিপু ও পারভেজকে।

২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় মামলা করে সিআইডির সাইবার পুলিশ। তদন্ত করতে গিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে সালামের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়।

২০০৬, ২০১৩, ২০১৫ সালে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে সালামের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

সিআইডি জানায়, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের প্রায় সবাই সালামের আত্মীয়স্বজন। খালাত ভাই জসিমের মাধমে সারা দেশে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতেন তিনি।

এদের সঙ্গে যুক্ত আছে ৫-৬ জন চিকিৎসক এবং ৩-৪ টি কোচিং সেন্টার। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১১ জন।

১৯ জুলাই জসিম, জাকির ও পারভেজকে গ্রেফতারের দিন তাদের কাছ থেকে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক, দুই কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। এগুলো মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

সালামের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হত্যা মামলা আছে। ২০১৪ সালের ১০ জুলাই করা মামলায় পরের বছর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মানিকগঞ্জ সিআইডি।

এ বিভাগের আরো খবর