করোনায় ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে নকল এন৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দায়ের মামলার সাত আসামির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) সাবেক উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেনসহ ছয় কর্মকর্তা ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।
সচিব বলেন, মামলার সাত আসামি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্যই এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখায় চিঠি দিয়েছে কমিশন।
তিনি বলেন, ‘আসামিরা করোনার মধ্যেও নকল জিনিস সরবরাহ করেছে। তারা দুর্নীতি করেছে। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজন গ্রেফতারও হয়েছেন।’
‘বাকি আসামিরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য কমিশনের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশনে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
মামলায় ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরেই গ্রেফতার হন জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাজ্জাক। সেদিনই দুদকের আবেদনে আদালত তাকে পাঁচ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) অনুমতি দেয়।
রোববার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুদক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সিএমএসডির সাবেক সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিকেল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ ও সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
মামলায় বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার-নার্স এবং অন্যদের সুরক্ষায় এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেএমআই গ্রুপ এন-৯৫ মাস্কের নামে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরে দেখা যায়, মাস্কগুলো এন-৯৫ মাস্ক নয়।