নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের ঘটনায় জাতির মর্যাদাহানি হয়েছে বলে উচ্চ আদালতকে বলেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় জানিয়ে তারা আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
নারী নির্যাতনের পাশবিক ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ফাঁসের পর সোমবার সকালে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দুই জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এ নিয়ে শুনানিতে সবাই ঘটনাটিকে ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে বক্তব্য দেন।
দুপুরে বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে কথা বলেন আইনজীবীরা। তারা ভুক্তভোগী নারীকে নিরাপত্তা দেয়ার পাশাপাশি নানা নির্দেশনা দেন।
এর আগে আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘গতকালের এ ঘটনা মানবতার ওপর জঘন্যতম অপরাধ। আপনারা এটি ফলোআপে রাখেন।’
আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের সমাজের ওপর প্রভাব পড়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদাহানি হয়েছে।’
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এ ঘটনায় শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বিদেশেও মানুষ দেখতে পেয়েছে।’
এ ঘটনায় পলিশ পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব করেছে অভিযোগ করে সে বিষয়েও নির্দেশনা চান তিনি।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শুধু নোয়াখালী নয়, সারা দেশেই ঘটছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব হচ্ছে কিন্তু কোথাও কোনো প্রতিকার বা সমাধান হচ্ছে না।’
গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণও করে দৃর্বৃত্তরা।
৩২ দিন পর ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এক মিনিটি ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওটি ফাঁস হলে নিন্দার ঝড় উঠে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান দুই অভিযুক্তসহ গ্রেফতার হয় চার আসামি।
সাত জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। এই ঘটনায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।