দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯টি ল্যাবে ১১ হাজার ৭৬৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এ নিয়ে নমুনা পরীক্ষা হলো ২০ লাখ ১ হাজার ৪৩১টি। এসব পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৩২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৭ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৩৭৫ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ১২.২৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮.৪৯ শতাংশ। আক্রান্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬.৫১ শতাংশ।
অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৪২ জন; এ নিয়ে রোগী শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৩২ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত একদিনে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৫২৬ জন। এ নিয়ে রোগমুক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৮৩ হাজার ১৮২ জনে।
একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের ১৭ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। এ পর্যন্ত ৪ হাজার ১৫৫ জন পুরুষ ও ১ হাজার ২২০ জন নারীর মুত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৭.৩০ শতাংশ ও নারী ২২.৭০ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৭ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রামে চারজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় তিনজন ও বরিশাল একজন আছেন।
গত রোববার দেশে ৯ হাজার ৮৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ১২৫ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১১.৪১ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছিল ২৩ জনের।
দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত রোগীর খবর জানানো হয় গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।
এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। শুরুর দিকে সংক্রমণ ধীর থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার নেয়।
জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশ ১৫তম স্থানে রয়েছে, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।