সামাজিক মাধ্যমের বিকাশের কারণে ধর্ষণের ঘটনাগুলো এখন বেশি সামনে আসছে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটত, তবে আড়ালে থেকে যেত।
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় হয়েছে। ধর্ষণ বাড়ছে বলে প্রায়ই বলাবলি হচ্ছে।
তবে তথ্যমন্ত্রী মনে করেন এখন ধর্ষণের প্রচার বেশি। বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি তা কিন্তু নয়। আগেও ঘটত। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এত ব্যাপকতা ছিল না। ফলে এ ঘটনাগুলো আড়ালে থেকে যেত। এখন বেশিরভাগ ঘটনা আড়ালে থাকে না।’
সামনে আসাটা ইতিবাচকভাবে দেখছেন মন্ত্রী। বলেন, ‘এ বিষয়টি ভাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা সোচ্চার এবং বিষয়গুলো তুলে ধরছেন সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ।’
দলীয় পরিচয়ের কারণে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলায় কেউ রেহাই পাবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন মন্ত্রী।
বলেন, ‘ধর্ষণকারীরা যে পরিচয়ই ব্যবহার করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদেরকে কঠোর হস্তে দমনে সরকার বদ্ধপরিকর।’ এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনভিত্তিক শিশুতোষ গ্রন্থ ‘আমি হব আগামী দিনের শেখ হাসিনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সরকারের জবাবদিহিতা না থাকায় খুন ধর্ষণের মতো ঘটনা বাড়ছে বলে বিএনপির প্রতিক্রিয়া নিয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা এগুলো করছে তারা দুষ্কৃতিকারী। তাদের অন্য কোন পরিচয় থাকতে পারে না।’
‘এ ধরনের ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে মাঝেমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে অপচেষ্টা চালানো হয়। বিএনপি তো দলীয়ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে নারী ধর্ষণ করেছে।’
‘২০০১ সালের পর ৮ বছরের শিশু, অন্তঃস্বত্ত্বা নারীকেও ধর্ষণ করা হয়েছে। পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে সেখানকার নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে।’
মানুষের কথা বলার অধিকার নেই বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগেরও জবাব দেন হাছান। বলেন, ‘তারা সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, দুপুরে একবার করে, বিকালে একবার করে। তারপর বলে, কথা বলার অধিকার নেই, এটা হাস্যকর।’