ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, এসব রাজনীতির বিষয় নয়।
সোমবার বেলা ১২টায় সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধর্ষণ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় অপরাধ এবং সামাজিক ব্যাধি। এ সব ঘৃণিত কাজে যারা জড়িত তারা বিকৃত রুচির অপরধী।
‘সরকার এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করছে। তবুও কোথাও কোথাও এ অপরাধ হচ্ছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশেও ধর্ষণের মতো ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।’
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে দলমত নির্বিশেষে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার কোনো প্রয়োজন নেই।
‘অন্তত এ ধরনের একটি ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অপরাধীদের প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করুন।’
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নাম আসছে। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটার দায় তো আমরা এড়াতে পারি না। সরকার ক্ষমতায়, সরকার কী করে দায় এড়াবে। সরকার এটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। ‘প্রত্যেকটি বিষয়ে সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ ধরনের ঘটনায় যারাই জড়িত, তারা যদি আমাদের দলীয় পরিচয়েও থাকে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে, শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এটি শুধু মুখে বলা হচ্ছে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রিফাত হত্যা মামলার রায় হয়ে গেল, ফেনীর নুসরাতের রায় হল। এখন কি দুদিনেই বিচার হবে? এগুলোর বিচার তো হচ্ছেই। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে।’
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদার উপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সে ব্যাপারেও তো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে। কিন্তু কাউকে ছাড় দেয়য়া হয়নি।
‘আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রায় প্রত্যেকেরই ছাত্রলীগের পরিচয়ে ছিল। কিন্তু তারা কি শাস্তি থেকে অব্যাহতি পেয়েছে?’