বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নুরদের গ্রেফতারে আদালতে আবেদন বাদীর

  • হিরক পাশা, ঢাকা   
  • ৪ অক্টোবর, ২০২০ ২১:৪২

ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা দুটি মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় আসামিকে গ্রেফতারে আদালতে আবেদন করেছেন বাদী। বিচারক আদেশ না দিয়ে বলেছেন, পুলিশ যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেফতার করতে পারে।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে এ আবেদন করেন বাদী।

শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

বাদী বলেন, আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসামিদের ধরা না হলে তদন্ত প্রভাবিত হওয়ায় আশঙ্কাও করছেন তিনি। এতে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

বাদীর আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন সাংবাদিকদের বলেন, বিচারক বলেছেন যেহেতু মামলাটি আমলযোগ্য ও গ্রেফতারি পরোয়নাযোগ্য, জামিন অযোগ্য। তাই পুলিশ কোন সময় তাকে (নুর) গ্রেফতার করতে পারে। সেক্ষেত্রে আলাদা করে আদালতের কোন আদেশের দরকার নেই।

মামলার আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বহিষ্কার করা আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি নাজমুল হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায় হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এতে বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। নুরকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি প্রথমে সমাধান করার আশ্বাস দেন। পরে চুপ হয়ে যেতে বলেন। নইলে অনলাইনে সম্মানহানির হুমকি দেন।

মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে সেদিন সন্ধ্যায় নুরকে কয়েক ঘণ্টার জন্য আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরদিন একই বাদী কোতয়ালি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা এবং পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চরিত্র হননের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন।

নুর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে একে তার বিরুদ্ধে সরকারের ষড়যন্ত্র বলেছেন। তবে প্রধান আসামি মামুনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে তদন্তের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে সাংগঠনিক তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়। তবে এরপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে আর কোনো সিদ্ধান্ত জানান হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর