বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যার রায় ২৭ অক্টোবর

  • হীরক পাশা, ঢাকা   
  • ৪ অক্টোবর, ২০২০ ১৬:২০

অনলাইনে ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়ে লেখালেখি করতেন ওয়াশিকুর। ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ ঢাকার তেজগাঁওয়ে বেগুনবাড়ি এলাকায় চাপাতির আঘাতে খুন হন তিনি। ধাওয়া করে দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা।

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা হয়েছে।

হত্যার সাড়ে পাঁচ বছর পর আগামী ২৭ অক্টোবর পাঁচ আসামির সাজা বা খালাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম।

রোববার বিচারক মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত জানান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার আশা করছেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য- প্রমাণ উপস্থাপন করেছি, তাতে আশা করছি মৃত্যুদণ্ড হবে।’

এই মামলার আসামি পাঁচ জন। এদের মধ্যে তিন জন গ্রেপ্তার আছেন। এরা হলেন: জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম ওরফে মুশফিক ওরফে এরফান এবং সাইফুল ইসলাম ওরফে মানসুর।

দুই পলাতক আসামি জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে তাহের এবং সাইফুল ইসলাম ওরফে আকরার পক্ষে রাষ্ট্রের খরচে আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়।

গত ২৫ আগস্ট মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন।

তিন আসামি গত ১০ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিজের বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বেগুনবাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন ওয়াশিকুর।

হত্যার পরপরই জনতা ধাওয়া করে মাদ্রাসাছাত্র জিকরুল্লাহ ও আরিফুলকে ধরে ফেলে।

সাইফুলকে হত্যার কয়েক দিন আগেই ধারালো অস্ত্রসহ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পরদিন চার জনকে আসামি করে তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা করেন নিহতের ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহর পাঁচ সদস্যকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ হত্যার পরিকল্পনা করেন।

২৭ বছর বয়সী ওয়াশিকুর তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে ট্র্যাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি বেশি লেখালেখি করতেন ফেইসবুকে।

ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি করায় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিকুরের মতোই খুন হন রাজীব হায়দার। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন ও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত।

রাজীব হত্যার পর আরও অন্তত ছয়জন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক, প্রকাশক একই কায়দায় খুন হন। এর মধ্যে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার বিচার চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর