লিবিয়ার মিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশি হত্যায় জড়িত মানবপাচারকারীদের ইন্টারপোলের সহযোগিতায় দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
দেশের বাইরে পালিয়ে থাকা মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের অবস্থান শনাক্তে সহায়তা করবে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা- ইন্টারপোল। এজন্য রেড অ্যালার্ট জারি করতে সংস্থাটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।
সিআইডির ডিআইজি আবদুল্লাহিল বাকী রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
লিবিয়ার মিজদা শহরে গত ২৯ মে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আহত হন আরও ১২ জন।
আবদুল্লাহিল বাকী জানান, এ ঘটনায় বাংলাদেশে ২৬টি মামলা হয়। এরমধ্যে ৩টি মামলার বাদি সিআইডি। আর ১৫টির তদন্ত করছে পুলিশের এই বিশেষ সংস্থা। এরই মধ্যে এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ৪৪ জন।
ডিআইজি জানান, আহত ও পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর বিশেষ ফ্লাইটে দেশে এসেছেন ৯ জন।
তারা হলেন- ফিরোজ বেপারী, জানু মিয়া, ওমর শেখ, সজল মিয়া, তরিকুল ইসলাম, বকুল হোসেন, মো. আলী, সোহাগ আহমেদ ও সাইদুল ইসলাম।
মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে দেশে ফেরা ৯ প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। লিবিয়া ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার বর্ণনা দেন তারা।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, মানবপাচারের এই ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি জড়িত। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের তানজিরুলের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বাকিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হবে।
মামলায় বেশ কয়েকজন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।