কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলির পর দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার সকালে ক্যাম্প-২ ইস্ট থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধারের করা কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু দ্দৌজা।
‘ঘটনার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। তবে দুটি লাশ ক্যাম্পে পড়েছিল। পরে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে’- বলেন এই কর্মকর্তা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিনও। পুলিশ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে বলে জানান তিনি।
উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানিয়েছেন ডিউটি অফিসার। এই দুই জন হলেন ইমাম শরীফ ও শামসুল আলম।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, সকাল ১০টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ছয়টি শেডে আগুন দেয়া হয়।
আহতদের মধ্যে আছেন, সৈয়দ আলম, আনোয়ার হোসেন, ইমাম হোসেন ও মোহাম্মদ রাসেল। আহতদের ক্যাম্পের ভেতরেই বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে তিন জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টের পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। তাদের বেশিরভাগকে কুতুপালংয়ে ক্যাম্পে রাখা হয়। আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার একাধিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশের সঙ্গে। তবে নানা অযুহাতে টালবাহানা করছে দেশটি।
রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে সরকার ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করলেও এখনো তাদের রাজি করানো যায়নি।
কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য নিয়ে এর আগেও নানা সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক রোহিঙ্গার প্রাণ গেছে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতেও