দেড় বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মুরাদ হোসেন ও মাহবুবা খাতুন। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ক মেনে নেননি মুরাদের মা।
এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তৈরি হয় অশান্তি। এক পর্যায়ে সংসার আর করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন মাহবুবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুরাদ তার স্ত্রীর মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর এ ঘটনায় দায়ের মামলায় মুরাদ হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দগ্ধ কিশোরী মাহবুবা খাতুনকে (১৭) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনীন জানান, মাহবুবার মুখের বাম অংশ পুরোটা দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া গলা ও বাম হাতের কনুই পুড়েছে।
র্যাব-৫ এর রাজশাহীর কোম্পানি কমান্ডার এটিএম মাইনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে চর আষাড়িয়াদহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুরাদকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজশাহী পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, গোদাগাড়ী উপজেলার রানীনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার মা-বাবার সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন মাহবুবা। মধ্যরাতে মাহবুবাকে লক্ষ করে এসিড ছোড়া হয়। এ ঘটনায় মুরাদকে আসামি করে মামলা করে ওই কিশোরীর মা সেফালি বেগম।
সেফালি বেগমের দাবি, এসিড ছুড়ে পালানোর সময় তিনি মুরাদকে দেখেছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুরাদ তার দোষ স্বীকার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় চার মাস আগে তার সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যান মাহবুবা। এই সময়ের মধ্যে এক আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তার স্ত্রী। বিষয়টি মানতে পারেননি তিনি।
মুরাদকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে। তিনি ট্রাকের হেলপার। তার বাবার নাম রাফিকুল ইসলাম।
RHK/ASJ