বাংলাদেশের রাজনীতি ১৯৮১ সালের আগে স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর রাজনীতিতে স্থিতি ফিরে আসে।
শনিবার ‘শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা' শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা একটা অস্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। শেখ হাসিনা এই পরিস্থিতি থেকে দেশের উত্তরণ ঘটান। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে রাজনীতিতে একটি ভারসাম্য তৈরি করেছেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে আইনের শাসনকে সমুন্নত করেছেন। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, এটা একটা বিস্ময় যে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৬৩ বছর থেকে ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে।
'শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা' ওয়েবিনারে অংশ নেন কয়েকটি দেশের অতিথিরা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজ থেকে এই অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার করা হয়। আলোচনায় আরো অংশ নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, সেক্রেটারি শাম্মী আহমেদ, ইউএন উইমেন এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিয়া সাপ্পো ও বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সময়কালে (১৯৯৬-২০০১) সবচেয়ে বেশি তিনি মানবাধিকার বিষয়ক সম্মেলনের চুক্তি করেছেন। তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি সবচেয়ে বেশিদিন গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। শেখ হাসিনা নেতৃত্বের একটি মাইলফলক তৈরি করেছেন।
মুহাম্মদ জমির বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে দেশে সাংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে। তিনি অনেকগুলো প্রাইভেট চ্যানেলের লাইসেন্স দিয়েছেন। যার ফলে এখন সরকারের সমালোচনা করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে, যেটা আগে কখনোই ছিল না।
মিয়া সাপ্পো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের সব বিষয়ে ধারণা রাখেন। তিনি দেশের প্রতিটা জেলার প্রতিটি বিষয়ে খোঁজ রাখেন। কেউ যদি তার সম্পর্কে জানেন তবে এটা একটা অবাক করা বিষয়।