দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত চার মাসের মধ্যে এটিই এক দিনে সবচেয়ে কম মৃত্যু।
এর আগে গত ২৮ মে ১৫ জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সর্বশেষ ২০ জনকে নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ হাজার ৩২৫ জনে দাঁড়াল।
শনিবার (৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অধিদফতরের তথ্য বলছে, গত ৩০ জুনের পর থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনাভাইরাসে একদিনে গড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ জন। এর পর মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকে। গত ২১ সেপ্টম্বর মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২১ জন, যা সেপ্টেম্বরের সর্বনিম্ন।
লাইনে দাঁড়িয়ে করোনা পরীক্ষায় নমুনা দিচ্ছেন অনেকেই। ছবি: সাইফুল ইসলাম
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী ৩ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন রংপুর বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৩২৫ জনের মধ্যে ৪ হাজার ১২১ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ২০৪ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ৭২৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৪৩১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৮৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩০০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১২০ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ৩১২টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৫৪। এখন পর্যন্ত মোট করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৫টি।
এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন চার হাজার ১২১ জন, আর নারী এক হাজার ২০৪ জন। মৃতদের শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে বিশ্বে করোনা শনাক্তের দিক থেকে ১৫ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের দিক থেকে ২৯তম অবস্থানে।