মোটরযানের ‘তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বিমা’ (থার্ড পার্টি ইন্সুরেন্স) না থাকলে মামলা করতে পারবে না পুলিশ।
সড়ক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ বিষয়টি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এটি কার্যকর করতে প্রজ্ঞাপনটি পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দফতরেও পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে গাড়ির প্রথমে পক্ষের বিমার কথা বলা আছে। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর পরিচালক (অপারেশন) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস।
দুই বছর আগের হিসাবে বাংলাদেশে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ৩৫ লাখ। তবে বিমার সংখ্যা কত, সে বিষয়ে পরিসংখ্যান নেই।
১৯৮৩ সালের মোটরযান সংক্রান্ত পুরনো আইনে তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বিমা করা বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে দুই বছর আগে করা নতুন আইনে তা বাতিল করা হয়।
তারপরও পুলিশ মামলা করতে থাকে। এই অবস্থায় বিষয়টি স্পষ্ট করতে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে বলে জানান শীতাংশু। রাস্তায় গাড়ি চলাচলের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগে, তার মধ্যে বিমা বাধ্যতামূলক ছিল।
দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণের সুযোগ থাকলেও প্রিমিয়াম বেশি বলে গাড়ির মালিকদের একটি বড় অংশ প্রথম পক্ষের বা ফার্স্ট পার্টি ইন্সুরেন্স করতে চান না। ক্ষতিপূরণ দিতে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো গরিমসির অভিযোগ আছে। এটিও এর একটি কারণ।
এর বদলে কম প্রিমিয়ামের তৃতীয় পক্ষের বিমাতেই চল বেশি। আর এই বিমা বা মেয়াদ না থাকলে মামলা করে আসছে পুলিশ।তৃতীয় পক্ষের বিমাতে গাড়ির মালিক বা যাত্রী কোনো ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকে না। তৃতীয় পক্ষ বা পথচারী ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, এমন উদাহরণ বিরল।
কোনো ক্ষতিপূরণ না পেলেও গাড়ির মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, নতুন সড়ক আইনে তৃতীয় পক্ষের বিমার বিষয়টি বাতিল করা হয় বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ পরিচালক।
গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর হয়। যদিও আইনটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি এখনও।